চাঁপাইনবাবগঞ্জের বরেন্দ্র এলাকা নাচোল উপজেলার ভেরেন্ডি গ্রামের কৃষক রুবেল। ২০১৭ সালে সৌদি আরবে থাকা এক আত্মীয়ের মাধ্যমে ৬শ’ চারা গাছ সংগ্রহ করে বাড়ির পাশের তিন একর জমিতে গড়ে তোলেন খেজুর বাগান। মাত্র দুই বছরের মাথায় গাছে ফল ধরা শুরু। এখান তা বেড়েছে কয়েকগুণ।
বাণিজ্যিকভাবে চাষাবাদে খরচ হয়েছে প্রায় ১৫ লাখ টাকা। সব গাছে ফল আসলে প্রতি বছর অন্তত ১৫ লাখ থেকে ২০ লাখ টাকা আয় হবে। বাণিজ্যিকভাবে গড়ে তোলা রুবেলের এই সৌদি খেজুরের বাগানে বর্তমানে প্রায় ১০টি জাতের ৫ হাজার খেজুর গাছ রয়েছে। এরমধ্যে মরিয়ম, সুককারি, আম্বার, বারোহি, মেজদুর, নাগাল অন্যতম।
এবার ২০০ গাছে ফল এসেছে। মাস দুয়েক পরই বাজারজাত করার উপযোগী হবে এসব গাছের খেজুর। প্রতিটি গাছে ফল আসে ১ থেকে ৫ মণ পর্যন্ত। রুবেল ও তার বাবা মোকসেদুল হোসেন বলেন, ২০১৭ সালে এ খেজুর গাছগুলো লাগানো হয়েছিল। এখন ফল আসা হয়ে শুরু হয়েছে। রুবেলের সাফল্য দেখে খেজুর বাগান করতে আগ্রহী হয়ে উঠছেন গ্রামের অনেকে। আগ্রহীরা চারাগাছের পাশাপাশি নিচ্ছেন নানা পরামর্শ।
বরেন্দ্রর উষ্ণ আবহাওয়া খেজুর চাষের জন্য বেশ সহায়ক বলে জানিয়েছেন চাঁপাইনবাবগঞ্জের কৃষি-সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক মো. নজরুল ইসলাম। তিনি বলেন, বরেন্দ্র মাটিতা আমাদের মধ্যপ্রাচ্যের মাটির সঙ্গে অনেকটা মিল রয়েছে। সেজন্য এই এলাকায় খেজুর চাষ বাড়ছে। এই খেজুরের ব্যাপক চাহিদা থাকায় প্রতিকেজি দুই থেকে আড়াই হাজার টাকায় বিক্রি হয়।